![]() |
বাংলাদেশের রাস্তায় রয়েল এনফিল্ড ৩৫০ মডেলের বাইক আসছে! |
নানা জল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশের রাস্তায় রয়েল এনফিল্ড (Royal Enfield) ৩৫০ মডেলের বাইক আসছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়, জুলাই মাস নাগাদ ইফাদ মোটরস চারটি ৩৫০ সিসি Royal Enfield মডেলের বাইক বিক্রি শুরু করবে।
Royal Enfield মোটরসাইকেলের স্থানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস আগামী মে মাসের মধ্যে দেশে ব্র্যান্ডটি চালু করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে যে, জুলাই মাস নাগাদ ইফাদ মোটরস চারটি ৩৫০ সিসি Royal Enfield মডেলের বাইক বিক্রি শুরু করবে এবং বর্তমানে সারা দেশে ডিলারদের সন্ধান করছে।
ইফাদ গ্রুপের পরিচালক তাসকিন আহমেদ বলেন, ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার এবং মিটিওর নামের এই চারটি মডেল স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হবে এবং দাম নির্ভর করবে বিনিময় হারের ওপর।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতটা সম্ভব দাম কম রাখার চেষ্টা করব। কিন্তু তিনি বিক্রি শুরুর পূর্বে মোটরসাইকেলের মূল্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে ইফাদ মোটরসের কারখানায় বছরে ৪০ হাজার মোটরসাইকেল তৈরির ক্ষমতা রয়েছে।
গত বছরের শেষের দিকে সড়কে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর সরকারি অনুমোদনের পর, সর্বপ্রথম বাংলাদেশের বাজাজ মোটরসাইকেলের প্রস্তুতকারক উত্তরা মোটরস ইতোমধ্যে ২৫০ সিসি মডেলের পালসার N250 বাজারে ছেড়েছে।
তবে উচ্চতর সিসির মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশী রাস্তায় চালানোর জন্য অবশ্যই স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে হবে।
Royal Enfield এখনো সব থেকে পুরনো টু হুইলার ব্র্যান্ড হিসেবে টিকে আছে।
আরও পড়ুনঃ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের যাত্রা ও ইতিহাস
রয়েল এনফিল্ড বাইকের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ২০১৫ সালে তারা গ্লোবাল সেলে হার্লে ডেভিডসনকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে। হার্লে ডেভিডসন সারা বিশ্বে যত বাইক বিক্রি করেছে তার থেকে বেশি বাইক শুধু ভারতেই বিক্রি করেছে রয়েল এনফিল্ড। বর্তমান সময়ে তারা সারা বিশ্বে ৫০ টিরও বেশি দেশে বাইক বিক্রি করছে। তাই তাদের এই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার মূল কারণই হচ্ছে এটি।
ভারতীয়রা এই বাইক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাইক বিক্রি হয়ে আসছে বলে ভারতীয়রা তাদের নিজস্ব পণ্য মনে করে।
রয়েল এনফিল্ড ব্যবহারকারীদের রয়েছে বিশাল কমিউনিটি। এসব কমিউনিটি যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করে, তেমনি অঞ্চলভিাত্তক কাজ করে। বাইক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় তারা একে অন্যকে সাহায্য করে। রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের রয়েছে অনন্য ডিজাইন। সেই ৫০ এর দশক থেকে তারা প্রায় একই ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করে আসছে। আর এই সকল ডিজাইনই রয়েল এনফিল্ডকে রাস্তায় চলা অন্য মোটরসাইকেল থেকে আলাদা করে।
রয়েল এনফিল্ড এর রয়েছে উচ্চগতি এবং মাইলেজ। তারা ২৫০ সিসি থেকে ৭০০ সিসি ইঞ্জিন বানিয়েছে যার মধ্যে সিঙ্গেল স্ট্রোক এবং ভি-টুইন ইঞ্জিন রয়েছে।
এই ইঞ্জিন গুলোর ফুয়েল ইফিসিয়েন্সি ভাল। সব রাস্তায় চলাচলের জন্য এই বাইক উপযুক্ত। সমতল থেকে তুষারবৃত পাহাড়ি রাস্তা, কাঁদা যুক্ত জমি থেকে শুষ্ক মরুভূমি, সব রাস্তায় পাওয়া যাবে এই বাইককে।
রয়েল এনফিল্ড বিভিন্ন দেশে তাদের বাইক লোকালি প্রস্তুত করে। তাই এর মূল্য সাধ্যের মধ্যেই থাকে।
ভারতের চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপনে এই বাইক অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। এতে করে বেশির ভাগ মানুষ স্টাইলের জন্য বাইক ক্রয় করে থাকে।
রয়েল এনফিল্ড এমনই এক বাইক কোম্পানি যার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। সব দেশে, সব পরিস্থিতিতে, সব পেশার মানুষের জন্য বাইক তৈরি করে এই কোম্পানি।
এখন দেখার বিষয় হলো, রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশী মানুষ ও বাইকার্স কমিউনিটির কাছে কতটা জনপ্রিয়তা লাভ করে।