এসইও কি?-What is SEO | এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

 

এসইও কি?-What is SEO | এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
 এসইও কি? এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আপনারা যদি একটি নিজস্ব ব্লগ বা ওয়েবসাইট খোলার কথা ভাবছেন তাহলে এসইও (SEO)- What is SEO সম্পর্কে আপনাকে শুরুতেই জানতে এবং শিখতে হবে। তাই আজকে এই পোস্ট মাধ্যমে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন কি, এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ, এর কাজ কি এবং এসইও (SEO) কিভাবে কাজ করে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনি যদি ভালো করে এসইও (SEO)- What is SEO সম্পর্কে ভাল ধারনা নিয়ে নিতে পারেন তাহলে অবশই ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। এটা মাথায় রাখতে হবে যে, বর্তমানে যেখানে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার নতুন ব্লগ পোস্ট গুলো নিয়মিত পাবলিশ হয়ে থাকে, সেখানে আপনি What is SEO এবং “এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ” এই বিষয় দুইটি না জেনে যদি ব্লগ লেখা শুরু করেন, তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন না।

মূলত আমরা ব্লগ বানিয়ে তা থেকে আর্টিকেল লেখা শুরু করি যাতে একদিন তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারি।

আমরা আমাদের ব্লগ থেকে অনেক মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারি। গুগল এডসেন্স দ্বারা, Affiliate Marketing দ্বারা এবং অন্য Advertisement Website থেকে। কিন্তু ব্লগ বানানো থেকে শুরু করে টাকা আয় করা পর্যন্ত আমাদের জরুরি যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নিজের ব্লগ সাইটে “ট্রাফিক” বা “ভিজিটর” নিয়ে আসা। আর আপনার ব্লগে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়ার জন্য আপনার ব্লগের আর্টিকেল এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ফ্রেন্ডলি কিভাবে করব। আর এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারনা পাবেন এই পোস্টি পড়ার মাধ্যমে।

আরও পড়ুনঃ টেকনিক্যাল এসইও গুরুত্ব

এসইও (SEO) কি?-What is SEO

এসইও (SEO) এর পূর্ণরূপ হলো “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ফ্রিতে অসংখ্য ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়ার জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে “Search Engine”। আর এই সার্চ ইন্জিন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো Google এবং Yahoo বা Bing।

এখন SEO মানে হলো এমন একটি কৌশল বা প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আমরা নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল এর পেজ গুলো Google এবং Yahoo বা Bing এর মতো Search Engine গুলোতে সবচেয়ে প্রথম সার্চ রেজাল্ট এ দেখাতে বা র‌্যাংক করাতে পারি।

এতে করে যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যবহার করে আমাদের ব্লগে বা ওয়েবসাইটের সাথে জড়িত কিছু বিষয়ে সার্চ করবেন তখন আমাদের ব্লগের আর্টিকেল Search Engine গুলির প্রথম পেজের ২০ টি ফলাফলের মধ্যে দেখাবে। আর একটি বিষয় মনে রাখবেন যে, এটাই এক মাত্র উপায় যার দ্বারা বর্তমানে লোকেরা নিজেদের ব্লগে হাজার হাজার ভিজিটর বা ট্রাফিক  পাচ্ছেন এবং তার থেকে টাকা আয় করছেন।

তাই সহজ ভাবে বলতে গেলে SEO হলো এমন একটি কৌশল বা নিয়ম যার ব্যবহার করে যে কেউ নিজের ব্লগের লেখা আর্টিকেল গুলো সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথমে রেজাল্ট পেজে র‌্যাংক করাতে পারবেন। এর জন্য আমাদের SEO ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভাবে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি?

“সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন” হলো সেই প্রক্রিয়া যার দ্বারা আপনারা নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগের আর্টিকেল গুলোকে উন্নত করে থাকেন। আর এর মূল উদ্দেশ্য হলো সার্চ রেজাল্ট পেজে ওয়েবসাইটের দৃশ্যমাত বাড়ানো। মূলত “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন” একটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যার দ্বারা আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজের মধ্যে চলে আসা search engine traffic এর গুণমান এবং পরিমাণ উন্নত করতে পারবেন।

এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নিজের ব্লগে লেখা প্রত্যেক আর্টিকেলে SEO করাটা অনেক জরুরি। যদি ব্লগে SEO না করা হয় তাহলে আপনার ব্লগ বা আর্টিকেল বা পেজটি গুগল এবং অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে ৩ থেকে ৪ নম্বর পেজে দেখানো হয়। ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে কোনো ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়া যাবেনা।

মনে করুন, আপনি আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখেছেন “ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায়” এই বিষয়টির উপরে। কিন্তু আপনার লেখা সেই একই বিষয়ের উপর আরও হাজার হাজার ব্লগাররা আর্টিকেল লিখছেন।

Google এবং Yahoo বা Bing সার্চ কার ব্লগে লেখা আর্টিকেল সবচেয়ে প্রথম পেজের প্রথম স্থানে রাখবে আর কার আর্টিকেল শেষ পেজে রাখবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে যার ব্লগে লেখা আর্টিকেল কতটা ইউনিক ও তথ্য নির্ভর হবে এবং আর্টিকেল  SEO ফ্রেন্ডলি হবে তার উপর বিষয়টি নির্ভল করে। এভাবে আর্টিকেল গুলো SEO প্রয়োগের উপরে বিচার বিশ্লেষন করা হয় যে কোন আর্টিকেলটি প্রথমে র‌্যাংক করবে। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন একটি আর্টিকেল পাবলিশ কারার আগে SEO ব্যবহার করা কতটা জরুরি।

আরও পড়ুনঃ ওয়েবসাইট (Website) কি? ওয়েবসাইট কত প্রকার ও কি কি?

SEO কত প্রকার হয়:

এসইও মূলত দুই প্রকার। একটি হলো On-page SEO এবং আরেকটি Off-page SEO। এসইও করার ক্ষেত্রে এই দুই প্রকার সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে থাকে।

অন পেজ এসইও:

অন পেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন হলো SEO এর এমন একটি অংশ যেখানে আমরা মূলত আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে বা ভিতরে SEO কৌশল ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ এমন কিছু ধাপ যেগুলো আমরা ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে ব্যবহার করে থাকি। যেগুলো হল:-

  • ব্লগ বানানোর সময় একটি সহজ এবং SEO ফ্রেন্ডলি ডিজাইন বা থীম সিলেক্ট করা।
  • ভাল ভাল ইউনিক আর্টিকেল লেখা।
  • কনটেন্ট রেখার সময় এর মধ্যে “কীওয়াড” সঠিকভাবে ব্যবহার করে আর্টিকেলটি SEO ফ্রেন্ডলি বানানো।
  • নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে “keyword” গুলি আর্টিকেলের Title, Description এবং আর্টিকেলের বিশেষ কিছু ভাগে ব্যবহার করা।

On-page SEO হলো এমন কিছু SEO techniques বা প্রক্রিয়া যেগুলি নিজের ব্লগের মধ্যে বা লেখা আর্টিকেলে ব্যবহার করে আমরা গুগল সার্চে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসা। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়ার জন্য নিজের ব্লগের আর্টিকেল গুলোকে ওপটিমাইজ করার জন্য যে SEO techniques গুলো ব্যবহার করা হয়, সে গুলোকেই বলা হয় On-page SEO।

On-page SEO কিভাবে করবেন?

নিজের সাইটে On-page SEO করার বেশ কিছু নিয়ম আছে। যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো:-

১. Website Loading Speed:

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য তার Loading Speed অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়। কারণ আমরা যেই হই না কেন আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট যেটি লোডিং স্পিড অনেক স্লো বা যে সাইট খুলতে অনেক সময় নেয় সে সব ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে আমরা কেউ চাই না। একটি অনলাইন সার্ভে থেকে পাওয়া গেছে যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ ২ থেকে ৪ সেকেন্ড এর মধ্যে ওপেন হওয়া সাইটটি লাভজনক।

কিন্তু যদি ওয়েবসাইট ২ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে না ওপেন হয় এবং অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ওপেন হয় তাহলে সেই ওয়েবসাইট অনেক স্লো। এতে করে ঔ সাইটের ভিজিটর্স অধিক সময় অপেক্ষা না করে সাইট থেকে চলে যাবে। ফলে ভিজিটর্স এসে কিছু না পরে দ্রুত ওয়েবসাইট থেকে চলে যায় এতে Google Search বা অন্যান্য Search engine এর কাছে ওয়েবসাইটটি খারাপ ভিউ হিসেবে প্রকাশ পায়।

তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, Website Loading Speed যেন দ্রুত হয়, এটা On-page SEO প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা না করলে কোন ভাবেই ভিজিটর্স পাওয়া সম্ভব না।

নিজের Website Loading Speed দ্রুত রাখার উপায়:

ওয়েবসাইটের Loading Speed দ্রুত রাখার জন্য যে সকল কাজ গুলো করতে হবে তা হলো:-

  • ভালো ও ফাস্ট ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।
  • ব্লগের থিম সাধারণ ও ফ্রেন্ডলি ব্যবহার করথে হবে।
  • ব্লগে ছবি আপলোড করার সময় সাইজ ছোট করে আপলোড করতে হবে।
  • ব্লগে cache এবং database cleaner plugin ব্যবহার করতে হবে।
  • WordPress ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের বেশি plugin ব্যবহার করা যাবে না। অতিারক্ত plugin ব্যবহার করলে ওয়েবসাইট স্লো হয়ে যায়।

২. Title Tag ব্যবহার করা:

আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা যে আর্টিকেল নিয়ে এত কিছুর আয়োজন করছি সেই আর্টিকেলের টাইটেল যদি ভাল না হয় তাহলে আমাদের সব আয়োজনই বৃথা। একটি মান সম্মত টাইটেল ব্যবহার করলে যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর্স আকর্ষিত হবে। এতে করে অধিক ভিজিটর্স নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

তাই এমন টাইটেল ব্যবহার করতে হবে যেন সহজে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু বোঝা যায়। এছাড়া সবসময় আর্টিকেলের টাইটেল যেন ৬৫ শব্দের ভিতরে হয় এবং সহজ সরল ভাবে লিখা হয়।

৩. ব্লগ পোস্টে URL লিংক ব্যবহার:

আর্টিকেল লিখার সময় প্রথমেই মনে রাখতে হবে নিজের ব্লগ পোস্টের URL লিংক সেট করে নেওয়ার কথা। আপনি Blogger বা WordPress যেটি ব্যবহার করেন না কেন, আপনি প্রথমেই নিজের লেখা আর্টিকেলের URL address সেট করে নিতে পারবেন। মনে করে ব্লগের আর্টিকেলের URL address সেট করার সময় “keyword” ব্যবহার করবেন। সেই সাথে URL address যেন ছোট হয় সেই বিষয়টিও মনে রাখতে হবে।

উদাহরণ স্বরূপ, আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন “SEO কি এবং ব্লগে এর ব্যবহার কিভাবে করবো” এখানে আপনি URL address সেট করবেন “seo-মানে-কি” বা “এস-ই-ও-কি-এবং-এর-ব্যবহার”।

এরকম করে ছোট সহজ URL address এবং তাতে keyword ব্যবহার করলে Google সহজে বুঝতে পারবে যে আপনি কিসের উপর আর্টিকেল লিখেছেন। এতে করে আপনার লেখা আর্টিকেল Google সার্চে Rank করার প্রবনতা বহু গুনে বেড়ে যায়।

৪. Internal Linking ব্যবহার করা

Internal Linking এমন একটি প্রক্রিয়া যেটা অন-পেজ এসইও মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো Internal Linking এর কনসেপ্ট আপনার ব্লগের আর্টিকেল Google সার্চে Rank করতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

Internal Linking বলতে বুঝায়, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় লেখা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে সম্পর্ক যুক্ত বা রিলেটেড অন্য আর্টিকেলের লিংক যুক্ত করাকে বুঝায়। 

উদাহরণ স্বরূপ- মনে করুন আমি আর্টিকেল লিখছি, “ব্লগ করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়” এবং আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে “ব্লগ” বা “টাকা আয়” নিয়ে লিখা অন্য একটি আগের পোস্টের লিংক যুক্ত করতে হবে।

কারণ আমি যে পোস্টি বর্তমানে লিখছি সেটা ব্লগ ও টাকা আয় করার উপর। অর্থাৎ, যদি আমি ব্লগ বা টাকা আয়ের বিষয়ে অন্য আর্টিকেল বা পোস্টের লিংক বর্তমান লেখা পোস্ট বা আর্টিকেলে বসিয়ে দেই তাহলে সেগুলো আমার লেখা আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কিত। আর এই প্রক্রিয়াটি হলো Internal Linking। যেহেতু SEO ক্ষেত্রে Internal Linking অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই অবশ্যই নিজের লেখা আটিকেলে Internal Linking ব্যবহার করতে হবে।

৫. ALT Tag এর ব্যবহার:

ব্লগে লিখা আর্টিকেলে আমরা একটি হলেও ছবি বা ইমেজ ব্যবহার করে থাকি। সুতরাং আমরা যখন ব্লগে ইমেজ বা ছবি আপলোড করব তখন সেই পিকচার বা ছবিতে “Alt tag” ব্যবহার করব। Alt tag ব্যবহার করা থাকলে Google এবং অন্য Search Engine গুলো আপলোড করা ছবির বিষয় বস্তু সহজে বুঝতে পারে। তাই Alt tag অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে এবং Alt tag মধ্যে targeted keyword এর ব্যবহার রাখতে হবে।

৬. কীওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার:

কীওয়ার্ড সেই শব্দ গুলিকে বলা হয় যেগুলোর উপরে বিশেষ করে আমরা আর্টিকেল লিখে থাকি। তাই মনে রাখতে হবে, যখন আমরা আর্টিকেল লিখব তখন নিজের কনটেন্ট এর কিছু কিছু অংশতে keyword ব্যবহার করতে হবে।

তাছাড়া, Content এর Heading, প্রথম paragraph, শেষ paragraph, আর্টিকেলের Title, URL address এবং Image ALT tag এ keyword ব্যবহার করবেন। আবার keyword এর অধিক ব্যবহার কিন্তু আপনার ব্লগকে গুগল সার্চ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বহিস্কার করে দিতে পারে। তাই keyword সেইটুকু ব্যবহার করতে হবে যতকুটু প্রয়োজন। সেই সাথে keyword গুলো আর্টিকেলে স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে। এতে আপনার ভিজিটর্স এবং গুগল প্রত্যেকেই বুঝতে পারবে যে আর্টিকেলটি কিসের উপর লিখা হয়েছে। Content এবং keyword এর সঠিক ব্যবহার SEO বা Search Engine Optimization এর জন্য অনেক জরুরি।

অফ পেজ এসইও:

Off-page SEO এমন এক রকমের Search Engine Optimization প্রক্রিয়া যেটা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভেতরে করি না। On-page SEO তে আমরা সবাকছু ব্লগের ভিতরে সেট করে থাকি আর্টিকেল লিখার সময় কিন্তু Off-page SEO ক্ষেত্রে আর্টিকেল লিখার পর তাকে পাবলিশ করার পর আরম্ভ করা হয়। অর্থাৎ Off-page SEO ক্ষেত্রে যে কাজ গুলো করবো তা সব ব্লগের বাইরে করতে হবে।

Off-page SEO এর প্রক্রিয়াতে Backlink তৈরি করা, নিজের ব্লগের URL address অন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটে দিয়ে তাকে জনপ্রিয় করা, Social media sharing, Domain authority, page authority, Link building এগুলো বিশেষ ভাবে জড়িত থাকে।

Off-page SEO করার নিয়ম:

Off-page SEO কিভাবে করা হয় তার কিছু পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-

১. ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে ইন্সপেকশন বা জমা করা:

প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটটিকে Google, Yahoo এবং Bing Webmaster Tools এ জমা দিতে হবে। কারণ, সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দেয়ার পর আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে দেখানো হবে এবং তার পর SEO করে নিজের ব্লগের অবস্থান বা র‌্যাংক ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।

সুতরাং, যেকোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট Google বা Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে জমা দেওয়ার জন্য Google search console এবং Bing Webmaster Tools ব্যবহার করে জমা দিতে হবে।

২. Directory Submission:

নিজের ব্লগ আর্টিকেলের URL address আমরা বিভিন্ন Directory Submission ওয়েবসাইটে গিয়ে জমা দিয়ে থাকি। মনে রাখতে হবে, যেগুলো Directory website এ আপনি নিজের ব্লগ বা URL address জমা দিবেন সেগুলো যেন High Domain Authority website হয়ে থাকে। এতে আপনার ব্লগে High Domain Authority website থেকে backlink আসবে এবং ফলে আপনার ওয়েবসাইটের High Domain Authority বেড়ে যাবে। এতে করে গুগল এ সার্চ করলেই অনেক ভালো এবং High Domain Authority website এর বিষয়ে জেনে যাবেন।

৩. Social Media ব্যবহার:

সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট যেমন- Facebook, Twitter এবং LinkedIn ব্যবহার করে আপনি নিজের ব্লগের Domain Authority বাড়িয়ে দিতে পারেন। এখানে যতটা সম্ভব Social Media Website গুলোতে গিয়ে নিজের ব্লগের নামে একটি প্রোফাইল বানাতে হবে। প্রোফাইল বানানোর পর তাতে নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলের URL address পোস্ট করতে হবে।

এতে আপনি Social Media গুলো থেকে সরাসারি ভিজিটর্স পাবেন এবং সেই সাথে Social Media Signal ও পেয়ে যাবেন যেটা Google এবং Yahoo search engine অনেক ভালো পায়। 

যেসব ওয়েবসাইটে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল আসে, সেই সব ওয়েবসাইট গুলোকে Google এবং Yahoo search অনেক বেশি মূল্য দিয়ে থাকে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ থেকে বেশি পরিমাণ ভিজিটর্স আসার সুযোগ বেড়ে যায়।

৪. Blog Commenting করা:

নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের URL address অন্য ব্লগে গিয়ে Comment এর মাধ্যমে সেই ব্লগে পোস্ট করাই হল  Blog Commenting।

এতে আপনি অনেক সহজে অনেক Backlink বানিয়ে নিতে পারবেন। আর আপনি যত বেশি Backlink বানিয়ে নিতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের Domain Authority তত পরিমানে বৃদ্ধি পাবে।

ফলে যত বেশি Domain Authority আপনার ব্লগে হবে ততটাই বেশি ভিজিটর্স আপনি Google এবং Yahoo Search থেকে পাবেন।

তাই আপনি নিজের ব্লগের বিষয়ের সাথে মিল রেখে যদি অন্য ব্লগের আর্টিকেলে গিয়ে যদি Comment করেন এবং নিজের ব্লগের URL address বসিয়ে দেন তাহলে সেটা আপনার ব্লগের জন্য অনেক লাভ হবে।

৫. Gust posting করে Backlink তৈরি করা:

গেস্ট পোস্টিং Off-page SEO এর সবচেয়ে বড় এবং দরকারি একটি বিষয়। Gust posting করে আপনি নিজের ব্লগের জন্য ভালো মানের Backlink বানিয়ে ফেলতে পারেন। এতে আপনি নিজের ওয়েবসাইটের Domain Authority বাড়িয়ে নিতে পারেন। ফলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট গুগল সার্চে ১০ নম্বর সার্চ রেজাল্টে দেখানোর সুযোগ পাবে।

Gust posting মানে হলো নিজের ব্লগের লিংক অন্য কারো ব্লগে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে পোস্ট করা। অর্থাৎ, যখন আপনি অন্য ব্যক্তির ব্লগের জন্য আটিকেল লিখবেন এবং সেই আর্টিকেলে নিজের ব্লগের URL address পোস্ট করবেন আর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় Gust posting।

আমি আগেই বলেছি, Gust posting করলে ওয়েবসাইটের Domain Authority অনেক সহজে বেড়ে যায়। তাই এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে Gust posting কেবল সেই সকল ওয়েবসাইট গুলোতে করতে হবে যেগুলোর Domain Authority অনেক বেশি।

Backlink কি?

সোজা ভাবে বললে, ব্যাকলিংক হলো Search Engine Optimization (SEO) এর অনেক জরুরি অংশ এবং নিজের ব্লগের ডোমেন অথরিটি, সার্চ ইন্জিন পারফমেন্স এবং র‌্যাংক বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হয়। ব্যাকলিংক মানে আপনার ওয়েবসাইটের URL অন্য একটি ওয়েবসাইটে থাকা এবং এভাবে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি External Link পাওয়া।

উদাহরণ, মনে করুন আমি আমার ব্লগে একটি আর্টিকেল লিখছি এবং আমার আর্টিকেলের একটি অংশতে আমি আপনার ব্লগের একটি আর্টিকেলের URL লিংক দিয়ে দিলাম। এতে করে আপনি আমার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের থেকে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল দিয়ে দেয়া URL লিংক এর মাধ্যমে একটি কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেয়ে যাবেন।

এভাবেই বিভিন্ন মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোতে যখন আপনার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের URL লিংক থাকবে, তখন সেই External Link গুলো হবে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক। তারপর সেই Backlink বা External link গুলোর মাধ্যমে Google bots আপনার ওয়েবসাইটে Link Juice Pass করে। এতে করে আপনার ব্লগের প্রতি গুগলের বিশ্বাস বহু গুনে বেড়ে যায় এবং পরে ওয়েবসাইটের Google Search ranking আরও ভাল হয়।

Info IT BD সকল আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেলে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top