![]() |
ব্যাকলিংক তৈরি করবেন কিভাবে? |
ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের পোস্টকে গুগল র্যাংকিং এ নিয়ে যাওয়ার জন্য সব চাইতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। “ব্যাকলিংক কি” এবং “কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন”, এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে অনেক ব্লাগাররাই চিন্তিত। তবে আপনার যদি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে এবং গুগল সার্চ ইন্জিন (Google Search Engine) থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ফ্রি ট্রাফিক ও ভিজিটর পেতে চান, তাহলে আপনার ওয়েবেসাইটের জন্য Backlink তৈরি করা আবশ্যক।
আরও পড়ুনঃ টেকনিক্যাল এসইও গুরুত্ব
অনেক ফ্রিল্যান্সার বলে থাকেন একটি ওয়েব সাইটের Backlink ছাড়া সেই ওয়েবসাইটকে প্রাণহীন ওয়েবসাইট বলে মনে হয়। এতে করে বুঝা যায় একটি ওয়েবসাইটের জন্য ‘ব্যাকলিংক’ কি পরিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। Backlink ছাড়া কোনো ভাবেই একটি ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি বাড়ানো সম্ভব না এবং Backlink ছাড়া একটি পোস্ট কখনো গুগল র্যাংকিং এ প্রথম সারিতে নিয়ে আসা সম্ভব না। এসইও SEO কে প্রকৃত পক্ষে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে- প্রথমটি হচ্ছে অনপেজ এসইও এবং অপরটি হচ্ছে অফপেজ এসইও। আর অফপেজ এসইও কেই ‘ব্যাকলিংক’ বলা হয়।
যে ওয়েবসাইটে যত বেশি Backlink থাকবে, সে ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি তত বেশি হবে। এর মানে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি যত বেশি ভাল হবে ততটাই বেশি গুগল আপনার সাইটের পোস্টটি তার সার্চ রেজাল্টে ভাল জায়গায় র্যাংক করাবে। ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি ভাল বা অধিক থাকা মানে গুগলের কাছে সেই ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি অনেক ভাল। এতে করে গুগল সার্চ তার গুরুত্ব অনেক বেশি দিয়ে থাকে।
তাই আমাদের উচিত গুগল সার্চ ইন্জিন থেকে নিজের ওয়েবসাইটে রেগুলার ট্রাফিক পাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থা থেকেই ওয়েবসাইটে Backlink যুক্ত করতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক ব্লগার আছে যারা ব্যাকলিংক কি এবং কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হয় সে ব্যাপারে সঠিক ধারনা তাদের নেই। এর ফলে গুগল সার্চ ইন্জিন থেকে ট্রাফি ওয়েবসাইটে আসে না। মূলত তাদের জন্যই আজকের এই আয়োজন।
ব্যাকলিংক
সোজা ভাবে বললে, ‘ব্যাকলিংক’ হলো Search Engine Optimization (SEO) এর অনেক জরুরি অংশ এবং নিজের ব্লগের ডোমেন অথরিটি, সার্চ ইন্জিন পারফমেন্স এবং র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটে Backlink তৈরি করতে হয়। ‘Backlink মানে আপনার ওয়েবসাইটের URL অন্য একটি ওয়েবসাইটে থাকা এবং এভাবে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি External Link পাওয়া।
উদাহরণ, মনে করুন আমি আমার ব্লগে একটি আর্টিকেল লিখছি এবং আমার আর্টিকেলের একটি অংশতে আমি আপনার ব্লগের একটি আর্টিকেলের URL লিংক দিয়ে দিলাম। এতে করে আপনি আমার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের থেকে নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল দিয়ে দেয়া URL লিংক এর মাধ্যমে একটি কোয়ালিটি Backlink পেয়ে যাবেন। এভাবেই বিভিন্ন মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলোতে যখন আপনার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের URL লিংক থাকবে, তখন সেই External Link গুলো হবে আপনার ওয়েবসাইটের Backlink। তারপর সেই Backlink বা External link গুলোর মাধ্যমে Google bots আপনার ওয়েবসাইটে Link Juice Pass করে। এতে করে আপনার ব্লগের প্রতি গুগলের বিশ্বাস বহু গুনে বেড়ে যায় এবং পরে ওয়েবসাইটের Google Search ranking আরও ভাল হয়।
ব্যাকলিংকের প্রকারভেদ:
ব্যাকলিংক মূলত কত প্রকার এবং কি কি তা নিচে কিছু ব্যাকলিংকের নাম ও তাদের কাজ সর্ম্পকে আলোচনা করা হলো। এতে করে আপনারা Backlink সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাবেন।
১. Internal Link- এই Backlink হচ্ছে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা যে ধরনের আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি, এই পোস্টের URL কে বুঝায়।
২. External Link- এই Backlink হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক গুলো অন্যের ওয়েবসাইটে চলে যাওয়াকে বলা হয়। অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করার পর সেই পোস্টের লিংক আরেকটি অন্য ওয়েবসাইটে পোস্ট করাকেই External Link বলে।
৩. Link Juice- এই ব্যাকলিংকের কাজ হচ্ছে অনের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে হাইপার লিংক এর মাধ্যমে যখন Backlink তৈরি করা হয় তখন Google bots সেই লিংক গুলোকে ফলো করে আপনার ব্লগের লিংক জুইস পাশ করে। আর এই লিংক জুস আপনার ব্লগ এর ডোমেন অথরিটি বাড়িয়ে সার্চ ইন্জিনে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৪. No-Follow Link- এই লিংকটি খুবই জনপ্রিয় এবং পরিচিত নাম। এই লিংকের মাধ্যমে অন্যের ওয়েবসাইট থেকে আসা Backlink গুলোকে No-Follow ট্যাগ ব্যবহার করে থাকে, তখন সে Backlink গুলো No-Follow ব্যাকলিংকে পরিণত হয়। এই ধরনের লিংকের মাধ্যমে গুগল তাদের লিংক পাস করেনা। তাই এই ধরনের Backlink কাজে আসে না।
৫. Do-Follow Link- এটিও একটি জনপ্রিয় Backlink যখন আপনাদের ব্লগে অন্যের ওয়েবসাইট থেকে আসা লিংক গুলো No-Follow ট্যাগ ব্যবহার করা হয় না তখন সেই লিংক গুলো Do-Follow লিংক হয় এবং এই ধরনের লিংকের মাধ্যমে গুগল লিংক জুস পাস করে তাই এই ধরনের Backlink আমাদের ব্লগ সাইটে অনেক কাজের এবং দরকারি।
ব্যাকলিংক তৈরি করবেন কিভাবে:
ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় কিছু বিষয় আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন- যে কোনো লো কোয়ালিটি ভাল ডোমেন অথরিটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি Backlink নিবেন না। তাহলে আপনার কষ্ট করা বৃথা হবে। সব সময় ভাল মানের ডোমেন অথরিটি ওয়েবসাইট গুলো থেকে Backlink নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
এক সাথে অধিক পরিমানে Backlink তৈরি করলে গুগল আপনার ব্লগকে স্প্যাম তৈরি করে নিতে পারে। এতে করে আপনার গুগল সার্চে র্যাংকিং অনেক বেশি কমে যাবে এবং গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে চিরতরের জন্য গুগল সার্চ থেকে সরিয়ে নিতে পারে। তাই আপনি অবশ্যই ভাল মানের ডোমেন অথরিটি ওয়েবসাইট থেকে রেগুলার আপনার ওয়েবসাইটের Backlink তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি বা অন্য যে কারো ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটি চেক করার জন্য এই লিংকটিতে ক্লিক করতে পারেন- Check domain authority
Info IT BD সকল আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেলে
সঠিক ভাবে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক বানানোর কিছু নিয়ম:
আপনি যদি সঠিক ভাবে বা কিছু নিয়ম অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটি সাথে ব্যাকলিংক তৈরি বা যুক্ত করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটি গুগল সার্চে র্যাংক করবে। চলুন আমরা সঠিক নিয়ম বা উপায় গুলো জেনে আসি:-
Quora- প্রশ্ন ও উত্তরের সাইট এই ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা পুরো বিশ্বে রয়েছে ও এই ওয়েবসাইটের ডোমেন অথরিটিও অনেক বেশি। তাই আপনারা চাইলে এই কোরা ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কীত প্রশ্ন ও অন্যদেন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে, সেই উত্তরের সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক জুরে দিলে আপনি ভাল মানের Backlink পেয়ে যাবেন। তাই কোরা ওয়েবসাইটটি আমাদের কাছে সবচাইতে বেস্ট ওয়েবসাইট ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য।
Blog Commenting Website- ব্লগ কমেন্টিং ওয়েবসাইট রয়েছে বিশ্বে অনেক। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের অন্যদের ব্লগের পোস্ট এর কমেন্ট সেকশন রয়েছে। সেই কমেন্ট সেকশনে আপনি কমেন্টস করেও আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টের URL লিংক যুক্ত করে ভালমানের Backlink তৈরি করে ফেলতে পারেন।
Directory Submission Site- এই মাধ্যমটিও খুবই জনপ্রিয় এবং খুবই কার্যকরী। চাইলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি শুধুমাত্র অন্য ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিতে পারেন।
Gust Posting- এটি হলো ব্যাকলিংকের সবচাইতে কার্যকরী ও সেরা মাধ্যম বলা হয়। গেস্ট পোস্টিং হচ্ছে আপনি অন্য একজনের ওয়েবসাইটে অথরিটি নিয়ে তার ওয়েবসাইটে আপনার পোস্ট রিলেটিভ অন্য একটি পোস্ট তৈরী করবেন ও সেই পোস্টের বিভিন্ন জায়গায় আপনার এই পোস্টের লিংক যুক্ত করে দিবেন; তাহলে আপনার গেস্ট পোস্টিং হয়ে যাবে।
Social Networking Site- সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোতেও ভাল মানের Backlink তৈরি করা যায়। সেজন্য অবশ্যই নিচের এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের URL যুক্ত করে দিবেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভাল মানের Backlink পেয়ে যাবেন। যেমন- Facebook, Tumblr, Twitter, LinkedIn, Pinterest ইত্যাদি।
আশাকরি Backlink সম্পর্কীত সকল বিষয় বুঝতে পেরেছেন। এই সকল বিষয় অনুসরন করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুব সহজে ভাল মানের Backlink তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
backlink ar kisu website ar list dan please.
high authority website list chai…. over all thanks for this information